গলগল করে বেরবে কিডনির ময়লা! রোজ নিয়ম করে খান একটি সবজির রস!!
বাজারে এখন নানা রকম হেল্থ ড্রিঙ্কের ভিড়। কেউ বলেন গাজরের রস, কেউ আবার পেয়ারার জুসে মজেছেন। কিন্তু এই ভিড়ে নীরবেই নিজের কাজটা করে চলেছে এক মুখচোরা নায়ক— বিট! চোখধাঁধানো রঙ, মাটির গন্ধ মেশানো স্বাদ আর পুষ্টিগুণে ভরপুর বিটের রস একেবারে সুপারফুড। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই জানাচ্ছেন, প্রতিদিন এক গ্লাস করে খালি পেটে বিটের রস খান।
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
বিটের রসে থাকে নাইট্রেট নামের এক আশ্চর্য যৌগ, যা শরীরে গিয়ে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। এটি রক্তনালীকে প্রসারিত করে, ফলে রক্ত চলাচল হয় মসৃণ। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিটের রস একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে।
২. রক্তশূন্যতার সঙ্গে যুদ্ধ করে বিট:
আয়রনের দারুণ উৎস বিট। যাঁরা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বিটের রস হতে পারে এক উপকারী বন্ধু। আয়রন হেমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে, ফলে শরীরে অক্সিজেন পৌঁছয় ঠিকঠাক। নিয়মিত বিটের রস খেলে ক্লান্তি দূর হয়, চেহারাতেও ফিরে আসে ঔজ্জ্বল্য।
৩. কিডনির ডিটক্স:
বিটের রসে থাকা বিটালেইন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের টক্সিন বের করতে সহায়তা করে এবং লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। তাই বিটের রস শুধু রক্ত নয়, শরীরকেও করে তোলে নির্মল।
৪. ব্যায়ামে সহায়ক:
জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন? দৌড়ঝাঁপ করছেন সকালে? বিটের রস হতে পারে আপনার নতুন প্রাকৃতিক ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’। নাইট্রেট থেকে উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড পেশির মধ্যে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করলেও সহজে ক্লান্তি আসে না।
৫. মস্তিষ্কে জোগায় তাজা রক্ত, বাড়ায় মনোযোগ:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ। গবেষণা বলছে, বিটের রস খেলে তা আবার সচল হতে পারে। বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধে বিটের রস কার্যকরী হতে পারে। তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রেও এটি মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
৬. ভাজা বিট: বীট ভাজা তাদের প্রাকৃতিক মিষ্টি বের করে এবং তাদের স্বাদ বাড়ায়। বীটগুলিকে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন, জলপাই তেল, লবণ এবং মরিচ দিয়ে টস করুন এবং 400°F (200°C) ওভেনে 30-40 মিনিট নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
৭. বীট গাছ রস: বীটের রস বীটের উপকারিতা উপভোগ করার একটি সুবিধাজনক উপায়। আপনি একটি পুষ্টিকর এবং সতেজ পানীয়ের জন্য গাজর, আপেল এবং আদার মতো অন্যান্য শাকসবজি এবং ফলের সাথে তাজা বীট জুস করতে পারেন।
৮.বিট সালাদ: বীটগুলি সালাদে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ। একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর সালাদের জন্য সবুজ শাক, ছাগলের পনির, আখরোট এবং একটি হালকা ভিনাইগ্রেটের সাথে ভাজা বা সেদ্ধ বিট একত্রিত করুন।
৯. বিট স্যুপ: বিট স্যুপ, বোর্শট নামেও পরিচিত, একটি ঐতিহ্যবাহী পূর্ব ইউরোপীয় খাবার। এটি গরম বা ঠান্ডা পরিবেশন করা যেতে পারে এবং বিট, বাঁধাকপি, আলু এবং অন্যান্য সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই হৃদয়গ্রাহী স্যুপ পুষ্টিকর এবং সন্তোষজনক উভয।
Comments
Post a Comment