কিভাবে স্বামীকে আদর করবেন।
মানুষের জীবনে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক বোঝাপড়াই একটি সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্কের ভিত্তি। দাম্পত্য জীবন শুধু দায়িত্ব ও কর্তব্য দিয়ে চলে না; এর ভেতরে প্রয়োজন হয় ভালোবাসার প্রকাশ, মমতা, আর আদর-স্নেহ। একজন স্বামী যেমন স্ত্রীর কাছ থেকে সঙ্গ, ভালোবাসা ও যত্ন চান, তেমনি স্বামীকে আদর করার মাধ্যমেই সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। তাই স্বামীকে আদর করার নানা উপায় জানা প্রতিটি স্ত্রীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
যৌন মিলনে সুখি হতে চাইলে সব দায়ভার কখনোই স্বামীর উপর ছেড়ে দিবেন না যদিও স্বভাবজাতভাবে স্বামী মুখ্যভূমিকা পালন করে থাকে আর স্ত্রীর ভূমিকা গৌন। কিন্তু স্ত্রী যখন স্বামীর আবেগকে বুঝবে, নিজেকে শুধুমাত্র নিজের স্বামীর কাছেই যৌন আবেদনময়ী করে উপস্থাপন করবে, স্বামীকে উত্তেজিত করে তুলবে, চুপচাপ বিছানার এককোণে পরে থাকবে না আশা করা যায় যৌনমিলন ভরপুর একসুখের সীমানায় নিয়ে যাবে।
# স্বামীর জন্য সাজুন, স্বামীকে ভালবাসুন, স্বামীর মেজাজকে বুঝতে চেষ্টা করুন।
# স্বামীকে সারপ্রাইজ দিতে মাঝে মাঝে খোলামেলা পোশাক পড়ুন, স্বামীর সামনে নিজের সৌন্দর্য কে ফুটিয়ে তুলুন।
# লাজুকতা থাকবে, এটা নারীর সৌন্দর্য। তবে বিছানায় ঝেড়ে ফেলুন। উগ্রতা মাঝে মাঝে কামনীয়, রোমান্টিক কথা, স্ত্রীর চিৎকার স্বামীকে পাগল করে দেয়, স্বামীর যৌন অক্ষমতা থেকে হিফাজত করে, সেক্স হরমোন রিলিজ করে, লিঙ্গকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত দৃঢ়, মজবুত করে রাখে।
# স্বামীকে দিয়েই আদর শুরু করুন, তার বিশেষ বিশেষ জায়গায় বিদ্যুৎ চমকায় দিন, তাকে গরম করে ছেড়ে দিন, যখন আপনার পালা আসবে তখন স্বামীর উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়ে যাবে যা দ্রুত বীর্যপাত কমিয়ে দিবে।
# স্বামীর যৌন পার্ফমেন্স কে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিন।স্পেশাল জিনিসটি নিজের প্রিয় জিনিস বানিয়ে নিন, আর স্বামীর কানে কানে সেটা জানিয়ে দিতে ভুলবেন না।
# স্বামীর পোশাক খুলতে সহায়তা করুন, প্রয়োজনে আপনি নিজে খুলে দিন, আর আপনারটা যেন আপনার স্বামী খুলে দেয়, তাকে যৌনতার শুরে অনুরোধ করুন।
# বডি মেসেজ এটা করতে ভূলবেন না, প্রচুর পরিমানে করুন, পরস্পরের সেক্সের আনন্দ বাড়িয়ে দিবে বহুগুন, স্বামীর সেনসেটিভ জায়গায় ভালোমত মেসেজ দিলে আশা করি দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যাটা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
# হঠাৎ হঠাৎ স্বামীকে ঘুমের মধ্যে নিজে থেকে আদর করুন, উত্তেজিত করে, তার যৌনক্ষুধা বাড়িয়ে দিন।
# মাঝে মাঝে উঠতে বসতে হালকা যৌনালাপ করুন, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকবে, সারাদিনের একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে, যৌনতাকে পরস্পরের মধ্যে মনখুলে ভালোবাসুন। নিজেদের মধ্যে গোপন রাখুন, মাঝে মাঝে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করুন, যা শুধু আপনারা ছাড়া দুনিয়ার কেউই যেন না বুঝে।
# হঠাৎ হঠাৎ সেক্সুয়াল টেক্সট করুন, বলুন তাকে খুব মিস করছেন, কাছে পেতে খুব ইচ্ছে করছে।
# স্বামীর চরম পুলক অর্থাৎ বীর্যপাতের সময় বেশি আপন করে নিন।
# সম্মান প্রদর্শন -সম্মান যেকোনো সম্পর্কের মেরুদণ্ড। স্বামীকে সবসময় কথা বলার ভদ্রতা, সিদ্ধান্তে তাঁর মতামত নেওয়া, কিংবা পরিবারের সামনে তাঁকে মর্যাদা দেওয়া—এসবের মাধ্যমেই আদর প্রকাশ পায়।
# ভালোবাসার কথা বলা -মনের আবেগ চেপে রাখলে সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন ছোট ছোট ভালোবাসার বাক্য বলা—যেমন “তুমি আমার শক্তি”, “তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ”—এসব শব্দ স্বামীকে আদরের মায়ায় আবদ্ধ করে রাখে।
# যত্নশীল হওয়া- স্বামীর স্বাস্থ্য, বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া এবং মানসিক চাপের দিকে খেয়াল রাখা আদরের অন্যতম নিদর্শন। ক্লান্ত হয়ে ফিরলে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেওয়া বা তাঁর জন্য পছন্দের খাবার রান্না করা ছোট্ট কাজ হলেও বড় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
# প্রশংসা করা- মানুষ প্রশংসা পেতে ভালোবাসে। স্বামী যদি অফিসে পরিশ্রম করেন, কোনো সাফল্য অর্জন করেন, কিংবা পরিবারের জন্য ছোট কোনো কাজ করেন—তাকে খোলাখুলি প্রশংসা করা উচিত। এতে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং স্ত্রীকে আরও ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত হন।
# সময় দেওয়া- ব্যস্ত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর জন্য মানসম্মত সময় খুব প্রয়োজন। একসাথে হাঁটতে যাওয়া, সিনেমা দেখা, আড্ডা দেওয়া কিংবা শুধু গল্প করা—এসব ছোট ছোট মুহূর্ত সম্পর্ককে প্রাণবন্ত করে তোলে।
# শারীরিক স্নেহ প্রকাশ- দাম্পত্য জীবনে শারীরিক আদর অনেক বড় ভূমিকা রাখে। স্বামীকে আলিঙ্গন করা, হাত ধরা, কাঁধে মাথা রাখা বা মমতায় ছুঁয়ে দেওয়া—এসব সহজ ভঙ্গি স্বামীকে ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়।
# খুশি ভাগাভাগি করা- সুখের মুহূর্তে হাসিখুশি থাকা এবং দুঃখের সময়ে পাশে থাকা স্বামীকে বোঝায়—তাঁর জীবনে স্ত্রীই তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ। আনন্দ ভাগাভাগি করলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
# সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দেওয়া- স্বামী যখন কোনো সমস্যায় পড়েন বা নতুন কিছু করতে চান, তখন তাঁকে অনুপ্রেরণা দেওয়া এবং সাহস জোগানো অত্যন্ত প্রয়োজন। স্ত্রী যদি স্বামীর পাশে দাঁড়ান, তবে তিনি সব কাজে শক্তি পান।
# ছোট ছোট সারপ্রাইজ দেওয়া- কখনো তাঁর প্রিয় খাবার রান্না করে পরিবেশন করা, ভালোবাসার নোট লিখে দেওয়া বা হঠাৎ কোনো উপহার দেওয়া—এসব ছোট ছোট সারপ্রাইজও আদরের প্রকাশ।
# প্রার্থনা ও শুভকামনা করা- স্বামীর জন্য প্রতিদিন মনের ভেতরে দোয়া করা, তাঁর সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করা—এটিও একধরনের আদর, যা সম্পর্ককে আধ্যাত্মিকভাবে আরও গভীর করে।
উপসংহার
স্বামীকে আদর করার বিষয়টি শুধু বাহ্যিক আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি ভালোবাসা, যত্ন, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার মিশ্রণ। একজন স্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে স্বামীকে আদর করেন, তবে দাম্পত্য সম্পর্ক হবে সুখী ও স্থায়ী। ভালোবাসা প্রকাশে কার্পণ্য না করে, প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই স্বামীকে আদর করা যায়। আর এভাবেই গড়ে ওঠে সুখী, শান্তিপূর্ণ ও স্বপ্নময় দাম্পত্য জীবন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন